আজ ১৭ রমজান বেলা ৫ ঘটিকায় মৌরী রেস্টুরেন্ট রমজানের তাৎপর্য ও ইসলামের উপর ননামূখী ষড়যন্ত্র শীর্ষক আলোচনা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন হযরত মাওলানা শাহ আহমদউল্লাহ আশরাফ (আমির, খেলাফত আন্দোলন), আরও উপস্থিত ছিলেন হযরত মাও: মাহমুদুল হাসান, খতিব বাইতুল আমান জামে মসজিদ। সভায় সভাপতিত্ব করেন আলহাজ্জ মো: শামসুল হক, আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব আলহাজ্জ মো: জামাল নাসের চৌধুরী, মাও: মুফতি আব্দুর রহমান, হাজী মো: ওসমান গনি, মো: আব্দুল কুদ্দুস, মো: জামালউদ্দিন, মো: সাগর, মাও: আবু তাদের, আলহাজ্জ মো: আমির হোসেন, মাঔ: মুজিবুর রহমান হামিদি, ডা: মো: সাহজাহান।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন দেশে শতকরা ৯০ জন মুসলমান থাকা সত্বেও আলেম ওলামা, পীর মাসায়েক ও ইসলামের পক্ষের মুসলমানদেরকে ঠাট্টা বিদ্রুপ ও নির্যাতন করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রি নিজে আলেমদেরকে যেভাবে অসম্মান করছেন তার পরিনতি ভালো হবে না। আগামীতে এই দল আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।
সংগঠনের সভাপতি আলহাজ্জ মো: শামসুল হক সাহেব বলেন সারা বিশ্বে মুসলমান নিধনের ষড়যন্ত্র চলছে। আজ মুসলমানদের জঙ্গি বলে নির্যাতন করা হচ্ছে। ইসলামের কথা বললে এদেশের মুসলমান নামধারী নাস্তিক ও জ্ঞান পাপী মুনাফেকরা লম্প ঝম্প আরম্ভ করে দেয়। তারা আলেম ওলামা, পীর মাশায়েকদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করতে থাকে। এমনকি এদেশের ক্ষমতাশীন নেত্রিও তাদের সঙ্গে সুরে সুর মিলিয়ে ইসলাম ও আলেম ওয়লামার বিরুদ্ধে কথা বলে থাকেন এটা দেশের ও জনগনরে জন্য শুভ হবে না। আল্লাহর আযাব আসলে কেহ রক্ষা পাবে না। তাই আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল কাদিয়ানী ও ইহুদী–খৃষ্টানদের দালালদের বিরুদ্ধে গঙ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
ইফতার পূর্বে অন্যান্য বক্তাগন বলেন, পবিত্র রমজান মাসে এই বদর দিবসে আমাদের ইসলামের ঐতিহাসিক ঘটনাবলি থেকে শিক্ষা নিতে হবে। আজ নারী ভোগীরা বিধর্মীদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে মাঠে নেমেছে। ইসলামের এই মহা সংকটে সকল বিবেদ ভুলে ইসলামি সকল সংগঠনকে এক কাতারে এসে বাতেলের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে। নতুবা বাংলাদেশের সরলপ্রান, ধর্মপ্রান মুসলমানদের ধোকা দিয়ে ঈমান নষ্ট ও নাস্তিক বানাতে চেষ্টা করছে। যে সব নারী সংগঠনের নেত্রিগন আল্লমা শাহ আহম্মদ শফি সাহেবের বিরুদ্ধে কুটুক্তি করছে তাদের নিজেদের চরিত্র যে খারাপ তা সচেতন নাগরিক অবগত আছেন। ইসলামের সঠিক পথে চলা যদি মধ্যযুগের হয় তবে বিশ্বের উন্নতদেশের নারীগন যে কত অসহায় তা সকলই জানেন। তাই উন্নত দেশের নারীরা দলে দলে ইসলাম গ্রহন করছে। ইসলামে নারীদেরকে সম্মান দিয়েছে এবং নারীবাদীরা বাজারের পণ্য বানিয়ে অসম্মান করছে। তবে এটা সত্য যে ইসলামের জাগরন বদর প্রান্তর থেকে আরম্ভ হয়েছে এবং কেয়ামত পর্যম্ত এটা অব্যহত থাকবে ইনশাআল্লাহ, কেউ এটা রোধ করতে পারবে না।